حديث الرسول ﷺ English الإجازة تواصل معنا
الحديث النبوي

حديث اغزوا باسم الله في سبيل الله قاتلوا من كفر بالله اغزوا ولا تغلوا ولا تغدروا - صحيح مسلم

صحيح مسلم | (حديث: حديث تأمير الإمام الأمراء على البعوث ووصية إياهم بآداب الغزو وغيرها )

4521- عن سليمان بن بريدة، عن أبيه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أمر أميرا على جيش، أو سرية، أوصاه في خاصته بتقوى الله، ومن معه من المسلمين خيرا، ثم قال: «اغزوا باسم الله في سبيل الله، قاتلوا من كفر بالله، اغزوا ولا تغلوا، ولا تغدروا، ولا تمثلوا، ولا تقتلوا وليدا، وإذا لقيت عدوك من المشركين، فادعهم إلى ثلاث خصال - أو خلال - فأيتهن ما أجابوك فاقبل منهم، وكف عنهم، ثم ادعهم إلى الإسلام، فإن أجابوك، فاقبل منهم، وكف عنهم، ثم ادعهم إلى التحول من دارهم إلى دار المهاجرين، وأخبرهم أنهم إن فعلوا ذلك فلهم ما للمهاجرين، وعليهم ما على المهاجرين، فإن أبوا أن يتحولوا منها، فأخبرهم أنهم يكونون كأعراب المسلمين، يجري عليهم حكم الله الذي يجري على المؤمنين، ولا يكون لهم في الغنيمة والفيء شيء إلا أن يجاهدوا مع المسلمين، فإن هم أبوا فسلهم الجزية، فإن هم أجابوك فاقبل منهم، وكف عنهم، فإن هم أبوا فاستعن بالله وقاتلهم، وإذا حاصرت أهل حصن فأرادوك أن تجعل لهم ذمة الله، وذمة نبيه، فلا تجعل لهم ذمة الله، ولا ذمة نبيه، ولكن اجعل لهم ذمتك وذمة أصحابك، فإنكم أن تخفروا ذممكم وذمم أصحابكم أهون من أن تخفروا ذمة الله وذمة رسوله، وإذا حاصرت أهل حصن فأرادوك أن تنزلهم على حكم الله، فلا تنزلهم على حكم الله، ولكن أنزلهم على حكمك، فإنك لا تدري أتصيب حكم الله فيهم أم لا»، قال عبد الرحمن هذا أو نحوه، وزاد إسحاق في آخر حديثه، عن يحيى بن آدم، قال: فذكرت هذا الحديث لمقاتل بن حيان - قال يحيى: يعني أن علقمة يقوله لابن حيان - فقال: حدثني مسلم بن هيصم، عن النعمان بن مقرن، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه، حدثني علقمة بن مرثد، أن سليمان بن بريدة، حدثه عن أبيه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا بعث أميرا، أو سرية دعاه فأوصاه، وساق الحديث بمعنى حديث سفيان.
عن الحسين بن الوليد، عن شعبة، بهذا


ترجمة الحديث باللغة الانجليزية

It has been reported from Sulaiman b. Buraida through his father that when the Messenger of Allah (ﷺ) appointed anyone as leader of an army or detachment he would especially exhort him to fear Allah and to be good to the Muslims who were with him. He would say:Fight in the name of Allah and in the way of Allah. Fight against those who disbelieve in Allah. Make a holy war, do not embezzle the spoils; do not break your pledge; and do not mutilate (the dead) bodies; do not kill the children. When you meet your enemies who are polytheists, invite them to three courses of action. If they respond to any one of these, you also accept it and withhold yourself from doing them any harm. Invite them to (accept) Islam; if they respond to you, accept it from them and desist from fighting against them. Then invite them to migrate from their lands to the land of the Muhajireen and inform them that, if they do so, they shall have all the privileges and obligations of the Muhajireen. If they refuse to migrate, tell them that they will have the status of Bedouin Muslims and will be subjected to the Commands of Allah like other Muslims, but they will not get any share from the spoils of war or Fai' except when they actually fight with the Muslims (against the disbelievers). If they refuse to accept Islam, demand from them the Jizya. If they agree to pay, accept it from them and hold off your hands. If they refuse to pay the tax, seek Allah's help and fight them. When you lay siege to a fort and the besieged appeal to you for protection in the name of Allah and His Prophet, do not accord to them the guarantee of Allah and His Prophet, but accord to them your own guarantee and the guarantee of your companions for it is a lesser sin that the security given by you or your companions be disregarded than that the security granted in the name of Allah and His Prophet be violated. When you besiege a fort and the besieged want you to let them out in accordance with Allah's Command, do not let them come out in accordance with His Command, but do so at your (own) command, for you do not know whether or not you will be able to carry out Allah's behest with regard to them


ترجمة الحديث باللغة الأوردية

ابوبکر بن ابی شیبہ نے کہا : ہمیں وکیع بن جراح نے سفیان سے حدی بیان کی ، نیز اسحاق بن ابراہیم نے کہا : ہمیں یحییٰ بن آدم نے خبر دی ، کہا : ہمیں سفیان نے خبر دی ، کہا : یہ حدیث انہوں نے ہمیں املا کروائی


ترجمة الحديث باللغة البنغالية

আবদুল্লাহ ইবনু হাশিম (রহঃ) ..... সুলাইমান ইবনু বুরাইদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সেনাবাহিনী কিংবা সেনাদলের উপর আমীর নিযুক্ত করতেন তখন বিশেষতঃ তাকে আল্লাহ তা'আলাকে ভয় করে চলার উপদেশ দিতেন এবং তার সঙ্গী মুসলিমদের প্রতি আদেশ করতেন তারা যেন ভালভাবে চলে। আর (বিদায়লগ্নে) বলতেন, যুদ্ধ করো আল্লাহর নামে, আল্লাহর পথে। লড়াই করো তাদের বিরুদ্ধে যারা আল্লাহর সঙ্গে কুফুরী করেছে। যুদ্ধ চালিয়ে যাও, তবে গনীমাতের মালের খিয়ানাত করবে না, চুক্তি ভঙ্গ করবে না, শক্র পক্ষের অঙ্গ বিকৃতি সাধন করবে না। শিশুদেরকে হত্যা করবে না। যখন তুমি মুশরিক শক্রর সম্মুখীন হবে, তখন তাকে তিনটি বিষয় বা আচরণের প্রতি আহ্বান জানাবে। তারা এগুলোর মধ্য থেকে যেটিই গ্রহণ করে, তুমি তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নিবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়াবে। প্রথমে তাদের ইসলামের দিকে দাওয়াত দিবে। যদি তারা তোমার এ আহবানে সাড়া দেয়, তবে তুমি তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নিবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে সরে দাঁড়াবে। এরপর তুমি তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে মুহাজিরদের এলাকায় (মাদীনায়) চলে যাওয়ার আহ্বান জানাবে। এবং তাদের জানিয়ে দিবে যে, যদি তারা তা কার্যকরী করে, তবে মুহাজিরদের জন্য যেসব উপকার ও দায়-দায়িত্ব রয়েছে, তা তাদের উপর কার্যকরী হবে। আর যদি তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে অস্বীকার করে, তবে তাদের জানিয়ে দেবে যে, তারা সাধারণ বেদুঈন মুসলিমদের মত গণ্য হবে। তাদের উপর আল্লাহর সে বিধান কার্যকরী হবে, যা মুমিনদের উপর কার্যকরী হয় এবং তারা গনীমাত ও ফাই* থেকে কিছুই পাবে না। অবশ্য মুসলিমের সঙ্গে শামিল হয়ে যুদ্ধ করলে তার অংশীদার হবে। আর যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে, তবে তাদের কাছে জিযয়াহ্ প্রদানের দাবী জানাবে। যদি তারা তা গ্রহণ করে নেয়, তবে তুমি তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নিবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকবে। আর যদি তারা এ দাবী না মানে তবে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়বে। আর যদি তুমি কোন দুর্গবাসীকে অবরোধ করো এবং তারা যদি তোমার কাছে আল্লাহ ও তার রসূলের যিম্মাদারী চায়, তবে তুমি তাদের জন্য আল্লাহ ও তার রসূলের যিম্মাদারী মেনে নিবে না। বরং তাদেরকে তোমার এবং তোমার সাথীদের যিম্মাদারীতে রাখবে। কেননা তারা যদি তোমার ও তোমার সাথীদের যিম্মাদারী ভঙ্গ করে, তবে তা আল্লাহ ও তার রসূলের যিম্মাদারী ভঙ্গের চাইতে কম গুরুতর। আর যদি তোমরা কোন দুর্গের অধিবাসীদেরকে অবরোধ করো, তখন যদি তারা তোমাদের কাছে আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক নেমে আসতে চায়, তবে তোমরা তাদেরকে আল্লাহর হুকুমের উপর নেমে আসতে দিবে না, বরং তুমি তাদেরকে তোমার সিদ্ধান্তের উপর নেমে আসতে দেবে। কেননা তোমার জানা নেই যে, তুমি তাদের মাঝে আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে পারবে কি-না? আবদুর রহমান (রহঃ) এ হাদীস কিংবা এ হাদীসের অনুরূপ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইসহাক (রহঃ) তার বর্ণিত হাদীসের শেষাংশে ইয়াহইয়া ইবনু আদম (রহঃ) সূত্রে কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি এ হাদীসটি মুকাতিল ইবনু হাইয়্যান (রহঃ) এর কাছে বর্ণনা করেছি। তখন তিনি ইয়াহইয়া (রহঃ) অর্থাৎ আলকামাহ্ (রহঃ) এর কথা উল্লেখ করে বলেন যে, তিনি তা বর্ণনা করেছেন ইবনু হাইয়্যানের উদ্দেশে। অতএব তিনি বলেন যে, মুসলিম ইবনু হায়সাম (রহঃ), নুমান ইবনু মুকাররিন (রহঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৩৭২, ইসলামিক সেন্টার)



(سرية) هي قطعة من الجيش تخرج منه تغير وتعود إليه.
قال إبراهيم الحربي: هي الخيل تبلغ أربعمائة ونحوها.
قالوا: سميت سرية لأنها تسري في الليل ويخفى ذهابها.
وهي فعيلة بمعنى فاعلة.
يقال: سرى وأسرى، إذا ذهب ليلا.
(في خاصته) أي في حق نفس ذلك الأمير خصوصا.
(ولا تغلوا) من الغلول.
ومعناه الخيانة في الغنم.
أي لا تخونوا في الغنيمة.
(ولا تغدروا) أي ولا تنقضوا العهد.
(ولا تمثلوا) أي لا تشوهوا القتلى بقطع الأنوف والآذان.
(وليدا) أي صبيا، لأنه لا يقاتل.
(ثم ادعهم إلى الإسلام) هكذا هو في جميع نسخ صحيح مسلم: ثم ادعهم.
قال القاضي عياض رضي الله عنه: صواب الرواية: ادعهم، بإسقاط ثم.
وقد جاء بإسقاطها على الصواب في كتاب أبي عبيد وفي سنن أبي داود وغيرهما.
لأنه تفسير للخصال الثلاث، وليست غيرها.
وقال المازري: ليست ثم، هنا، زائدة.
بل دخلت لاستفتاح الكلام والأخذ.
(ذمة الله) الذمة، هنا، العهد.
(أن تخفروا) يقال: أخفرت الرجل إذا نقضت عهده.
وخفرته أمنته وحميته.