1491-
عن حميد بن قيس المكي، أن مكاتبا، كان لابن المتوكل هلك بمكة وترك عليه بقية من كتابته.
وديونا للناس.
وترك ابنته.
فأشكل على عامل مكة القضاء فيه.
فكتب إلى عبد الملك بن مروان يسأله عن ذلك.
فكتب إليه عبد الملك «أن ابدأ بديون الناس ثم اقض ما بقي من كتابته.
ثم اقسم ما بقي من ماله بين ابنته ومولاه»
Malik related to me from Humayd ibn Qays al-Makki that a son of al-Mutawakkil had a mukatab who died at Makka and left (enough to pay) the rest of his kitaba and he owed some debts to people. He also left a daughter. The governor of Makka was not certain about how to judge in the case, so he wrote to Abd al-Malik ibn Marwan to ask him about it. Abd al-Malik wrote to him, "Begin with the debts owed to people, and then pay what remains of his kitaba. Then divide what remains of the property between the daughter and the master." Malik said, "What is done among us is that the master of a slave does not have to give his slave a kitaba if he asks for it. I have not heard of any of the Imams forcing a man to give a kitaba to his slave. I heard that one of the people of knowledge, when someone asked about that and mentioned that Allah the Blessed, the Exalted, said, 'Give them their kitaba, if you know some good in them' (Sura 24 ayat 33) recited these two ayats, 'When you are free of the state of ihram, then hunt for game.' (Sura 5 ayat 3) 'When the prayer is finished, scatter in the land and seek Allah's favour.' " (Sura 62 ayat 10) Malik commented, "It is a way of doing things for which Allah, the Mighty, the Majestic, has given permission to people, and it is not obligatory for them." Malik said, "I heard one of the people of knowledge say about the word of Allah, the Blessed, the Exalted, 'Give them of the wealth which Allah has given you,' that it meant that a man give his slave a kitaba and then reduce the end of his kitaba for him by some specific amount." Malik said, "This is what I have heard from the people of knowledge and what I see people doing here." Malik said, "I have heard that Abdullah ibn Umar gave one of his slaves his kitaba for 35,000 dirhams, and then reduced the end of his kitaba by 5,000 dirhams." Malik said, "What is done among us is that when a master gives a mukatab his kitaba, the mukatab's property goes with him but his children do not go with him unless he stipulates that in his kitaba." Yahya said, "I heard Malik say that if a mukatab whose master had given him a kitaba had a slave- girl who was pregnant by him, and neither he nor his master knew that on the day he was given his kitaba, the child did not follow him because he was not included in the kitaba. He belonged to the master. As for the slave-girl, she belonged to the mukatab because she was his property." Malik said that if a man and his wife's son (by another husband) inherited a mukatab from the wife and the mukatab died before he had completed his kitaba, they divided his inheritance between them according to the Book of Allah. If the slave paid his kitaba and then died, his inheritance went to the son of the woman, and the husband had nothing of his inheritance. Malik said that if a mukatab gave his own slave a kitaba, the situation was looked at. If he wanted to do his slave a favour and it was obvious by his making it easy for him, that was not permitted. If he was giving him a kitaba from desire to find money to pay off his own kitaba, that was permitted for him. Malik said that if a man had intercourse with a mukataba of his and she became pregnant by him, she had an option. If she liked she could be an umm walad. If she wished, she could confirm her kitaba. If she did not conceive, she still had her kitaba. Malik said, "The generally agreed on way of doing things among us about a slave who is owned by two men is that one of them does not give a kitaba for his share, whether or not his companion gives him permission to do so, unless they both write the kitaba together, because that alone would effect setting him free. If the slave were to fulfil what he had agreed on to free half of himself, and then the one who had given a kitaba for half of him was not obliged to complete his setting free, that would be in opposition to the words of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. 'If someone frees his share in a slave and has enough money to cover the full price of the slave, justly evaluated for him, he must give his partners their shares, so the slave is completely free . ' " Malik said, "If he is not aware of that until the mukatab has met the terms or before he has met them the owner who has written him the kitaba returns what he has taken from the mukatab to him, and then he and his partner divide him according to their original shares and the kitaba is invalid. He is the slave of both of them in his original state." Malik spoke about a mukatab who was owned by two men and one of them granted him a delay in the payment of the right which he was owed, and the other refused to defer it, and so the one who refused to defer the payment exacted his part of the due. Malik said that if the mukatab then died and left property which did not complete his kitaba, "They divide it according to what they are still owed by him. Each of them takes according to his share. If the mukatab leaves more than his kitaba, each of them takes what remains to them of the kitaba, and what remains after that is divided equally between them. If the mukatab is unable to pay his kitaba fully and the one who did not allow him to defer his payment has exacted more than his associate did, the slave is still divided equally between them, and he does not return to his associates the excess of what he has exacted, because he only exacted his right with the permission of his associate. If one of them remits what is owed to him and then his associate exacts part of what he is owed by him and then the mukatab is unable to pay, he belongs to both of them. And the one who has exacted something does not return anything because he only demanded what he was owed. That is like the debt of two men in one writing against one man. One of them grants him time to pay and the other is greedy and exacts his due. Then the debtor goes bankrupt. The one who exacted his due does not have to return any of what he took
Salim al-Hilali said: Hadith Maqtu Sahih
Telah menceritakan kepadaku Malik dari [Humaid bin Qais Al Makki] berkata, "Seorang budak mukatab milik Ibnu Mutawakkil meninggal di Makkah, ia meninggalkan beberapa sisa pembayaran untuk pembebasan dirinya, hutang ke beberapa orang serta seorang anak wanita. Pegawai pemerintahan yang ada di Makkah mengalami kesulitan dalam menyelesaikan urusan tersebut. Maka ia menulis surat kepada Abdul Malik bin Marwan untuk menanyakan perihal tersebut. [Abdul Malik bin Marwan] kemudian menjawab; "Selesaikanlah dahulu urusan hutang-hutangnya kepada orang-orang, kemudian selesaikan urusan yang tersisa dari pembebasan dirinya dan setelah itu bagilah harta miliknya yang tersisa untuk diberikan kepada anak perempuannya dan majikannya
রেওয়ায়ত ১৫. মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের ব্যাপারে অতি উত্তম কথা যাহা আমি শুনিয়াছি তাহা এই : যে মুকাতাবকে তাহার কর্তা মৃত্যু মুহূর্তে আযাদ করিয়াছে তবে সেই অবস্থাতে (সেই মুহূর্তে) উহার মূল্য যাহা হয় তাহাই ধার্য করা হইবে। অর্থাৎ যদি উহাকে বিক্রি করা হয় তবে কত মূল্য দাঁড়াইবে তাহাই ধার্য মূল্য "বদলে কিতাবাত"-এর যাহা বাকী রহিয়াছে তাহার কম হয়, তবে উহা মৃত ব্যক্তির সম্পদের একতৃতীয়াংশ মুতাবিক ধার্য করা হইবে। মুকাতাবের জিম্মায় যে পরিমাণ দিরহাম অবশিষ্ট রহিয়াছে উহার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হইবে না। ইহা এইজন্য যে, মুকাতাবকে যদি হত্যা করা হয় তবে হত্যাকারী সেই হত্যার দিনের মূল্যই আদায় করিবে। (অনুরূপ) মুকাতাবকে কেহ জখম করিলে সে জখমের দিনের খেসারতই আঘাতকারী আদায় করিবে। এই সব ব্যাপারে উহার কিতাবাত কত দিরহাম বা কতদিনের উপর হইয়াছে সেদিকে লক্ষ্য করা হয় না। কারণ যতক্ষণ কিতাবাতের কিছু অর্থ অনাদায়ী থাকে ততক্ষণ সে ক্রীতদাস থাকে। আর “বদলে কিতাবাত” যাহা উহার জিম্মায় রহিয়াছে উহা যদি তাহার মূল্য হইতে কম হয় তবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক তৃতীয়াংশ হইতে “বদলে কিতাবাত”-এর ব্যাপারে উহার জিম্মায় যে বকেয়া রহিয়াছে মাত্র সে পরিমাণই হিসাব করা হইবে। কারণ মৃত ব্যক্তি তাহার জন্য তাহার "বদলে কিতাবাত"-এর বকেয়া পরিমাণই রাখিয়া গিয়াছে। ফলে উহা এমন ওসীয়াতের মতো হইয়াছে, যে ওসীয়্যত সেই (মৃত ব্যক্তি) উহার মুকাতাবের জন্য করিয়াছে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই, যদি মুকাতাবের মূল্য হয় এক হাজার দিরহাম এবং উহার কিতাবাত হইতে বাকী রহিয়াছে মাত্র একশত দিরহাম, এমতাবস্থায় তাহার কর্তা তাহার জন্য একশত দিরহামের ওসীয়্যত করিয়াছে। উহা তাহার কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে হিসাব করা হইবে। এই ওসীয়্যতের দরুন মুকাতাব আযাদ হইয়া যাইবে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার গোলামকে মৃত্যুর সময় মুকাতাব করিল, তবে ক্রীতদাসের মূল্য ধার্য করা হইবে। তারপর কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ যদি ক্রীতদাসের মূল্য পরিশোধের জন্য যথেষ্ট হয় তবে উহা জায়েয হইবে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই যে, (দৃষ্টান্তস্বরূপ) ক্রীতদাসের মূল্য হইতেছে এক হাজার দীনার, তাহার কর্তা মৃত্যুর সময় তাহার সহিত মুকাতাব করিল দুইশত দীনারের উপর, (অপর দিকে) তাহার কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতেছে এক হাজার দীনার, তবে ইহা বৈধ। ইহা (এক প্রকারের) ওসীয়্যত যাহা তাহার (মুকাতাবের) জন্য (সম্পদের) এক-তৃতীয়াংশ করা হইয়াছে। আর যদি (মুকাতাবের) কর্তা অন্য কোন সম্প্রদায়ের জন্য ভিন্ন ধরনের ওসীয়্যত করিয়া থাকে, (অপরদিকে) এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে মুকাতাবের মূল্যের অধিক মাল নাই, তবে মুকাতাবকে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে। কারণ কিতাবাত হইতেছে আযাদী প্রদান করা। সুতরাং কিতাবাতের ওসীয়াতকে ওসীয়াতসমূহের মধ্যে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে। অতঃপর অন্য সকল ওসীয়াতকে মুকাতাবের “বদলে কিতাবাত”-এর অন্তর্ভুক্ত করা হইবে। যাহাঁদের জন্য ওসীয়াত করা হইয়াছে তাহারা মুকাতাবের দিকে রুজু করিবে এবং ওসীয়াতকারীর ওয়ারিসগণকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে। তাহারা পছন্দ করিলে যাহাদের জন্য ওসীয়াত করা হইয়াছে উহাদের পক্ষে ওসীয়াত পূর্ণ করিবে এবং মুকাতাবের কিতাবাতের অর্থ তাহাদের প্রাপ্য হইবে। তাহারা চাহিলে এইরূপ করিতে পারিবে। আর তাহারা যদি এইরূপ করিতে অস্বীকার করে এবং মুকাতাব ও মুকাতাবের সম্পদকে ওসীয়াত যাহাদের জন্য করা হইয়াছে উহাদের নিকট সোপর্দ করিয়া দেয়, ইহাও তাহাদের জন্য বৈধ। কারণ এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ সেই মুকাতাবের মধ্যেই (অর্থাৎ তাহার নিকটই) রহিয়াছে। আর ইহা এই জন্য যে, যে কোন কোন ওসীয়্যত যাহা কোন ব্যক্তি করিয়াছে তাহা সম্পর্কে তাহার ওয়ারিসগণ বলিতে পারে, আমাদের মুরিস’ (কর্তা-ব্যক্তি-পরিবারের প্রধান) যাহা ওসীয়্যত করিয়াছে উহা এক-তৃতীয়াংশের অধিক এই ওসীয়্যতের দ্বারা তিনি তাহার অধিকার বহির্ভূত অতিরিক্ত সম্পদ গ্রহণ করিয়াছেন। মালিক (রহঃ) বলেন-(এই অবস্থাতে) উহার ওয়ারিসগণকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে এবং তাহাদিগকে বলা হইবে, তোমাদের মুরুব্বী বা মুরিস যে ওসীয়্যত করিয়াছে, তোমরা সে বিষয়ে অবগত হইয়াছ, (এখন) তোমরা যদি মৃত ব্যক্তির ওসীয়াতকে যাহার জন্য তিনি ওসীয়াত করিয়াছেন সেই মতে কার্যকর করিতে পছন্দ কর, (তবে ভাল কথা) : নতুবা যাহাদের জন্য ওসীয়াত করা হইয়াছে তাহাদের উদ্দেশ্যে মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ পূর্ণ ছাড়িয়া দাও। মালিক (রহঃ) বলেনঃ মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ ওসীয়াত যাহাদের জন্য করা হইয়াছে তাহাদের নিকট মুকাতাবকে সোপর্দ করিয়া দেয় তবে “বদলে কিতাবাত” তাহদের প্রাপ্য হইবে, মুকাতাব যদি তাহার জিম্মায় কিতাবাতের অর্থ উহাদের নিকট পরিশোধ করে তবে উহারা ওসীয়্যত বাবদ উহাদের অংশ অনুযায়ী বন্টন করিয়া লইবে। আর মুকাতাব যদি অর্থ আদায়ে অপারক হয় তবে সে উহাদের নিকট ক্রীতদাসরূপে থাকিবে, ওয়ারিসগণের নিকট ফিরিয়া যাইবে না। কারণ উহারা তাহাকে ছাড়িয়া দিয়াছে যখন ইখতিয়ার দেওয়া হইয়াছে তখন। আর এইজন্যও যে ওয়ারিসগণ যখন ওসীয়্যত গ্রহীতাদের নিকট মুকাতাবকে সোপর্দ করে তখন ওসীয়াত গ্রহীতারা তাহাকে জামিন হিসাবে গ্রহণ করে। তাই ওসীয়্যত গ্রহীতাদের জন্য মুকাতাবের মৃত্যু হইলে ওয়ারিসগণের কোন দায়িত্ব থাকিবে না। আর যদি মুকাতাবের মৃত্যু হয় কিতাবাতের অর্থ পরিশোধ করার পূর্বে এবং উহার জিম্মায় যে অর্থ রহিয়াছে তাহার অধিক মাল রাখিয়া যায় তবে উহার মাল ওসীয়াত গ্রহীতাদের জন্য হইবে। আর যদি মুকাতাব কিতাবাতের অর্থ পরিশোধ করিয়া থাকে তবে সে আযাদ হইয়া যাইবে এবং তাহার উত্তরাধিকারিত্ব রুজু করিবে মুরিস-এর আসাবা এর দিকে যিনি কিতাবাত সম্পাদন করিয়াছিলেন। মালিক (রহঃ) বলেনঃ জনৈক মুকাতাবের নিকট “বদলে কিতাবাত” বাবদ তাহার কর্তা দশ হাজার দিরহাম পাইবে। সে মৃত্যুর সময় মুকাতাবের জিম্মা হইতে এক হাজার দিরহাম কমাইয়া দিল। মালিক (রহঃ) বলেন, মুকাতাবের মূল্য নির্ধারণ করা হইবে। অতঃপর লক্ষ্য করা হইবে উহার মূল্য কত? যদি উহার মূল্য এক হাজার দিরহাম হয় তবে মুকাতাব হইতে যাহা কমান হইয়াছে উহা “বদলে কিতাবাত”-এর এক দশমাংশ? আর উহা মূল্যের দিক দিয়া একশত দিরহাম এর মতো এবং উহা (একশত দিরহাম) হইতেছে মূল্যের এক দশমাংশ, তাই উহা (মুকাতাব) হইতে এক-দশমাংশ কমান হইল যাহা মূল্যের হইবে এক-দশমাংশ (১/১০) নগদ মূল্যে। ইহা হইতেছে এইরূপ যেমন মুকাতাব হইতে সম্পূর্ণ “বদলে কিতাবাত” মাফ করিয়া দেওয়া হয়, যদি (কর্তা) এইরূপ করে তবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে মুকাতাবের মূল্য এক হাজার দিরহাম ছাড়া আর কিছু হিসাব করা হইবে না। আর যদি মুকাতাব হইতে “বদলে কিতাবাতের” অর্ধেক মাফ করা হয় তবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ (মুকাতাবের) মূল্যের অর্ধেক হিসাব করা হইবে। আর ইহা হইতে কম বা অধিক হইলে তবে সেই অনুপাতেই হিসাব করা হইবে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি তাহার মুকাতাবের (বদলে কিতাবাত) দশ হাজার দিরহাম হইতে এক হাজার দিরহাম তাহার মৃত্যুর সময় কমাইয়া দিয়াছে, আর সে ইহা নির্দিষ্ট করে নাই যে, ইহা কিতাবাতের (কিস্তির) প্রথম ভাগে কমান হইবে, কিম্বা শেষের দিকে কমান হইবে। তবে প্রতিটি কিস্তি হইতে “বদলে কিতাবাত”-এর এক-দশমাংশ করিয়া কমাইবে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার মৃত্যুকালে তাহার মুকাতাব হইতে এক হাজার দিরহাম কমাইয়া দিল। কিতাবাতের প্রথম ভাগ হইতে কিম্বা শেষের দিক হইতে। আর আসল কিতাবাত অনুষ্ঠিত হইয়াছিল তিন হাজার দিরহামের উপর, তবে নগদ মূল্যে মুকাতাবের মূল্য নির্ধারণ করা হইবে। অতঃপর সেই মূল্যকে (কিস্তিতে) বিভক্ত করা হইবে। তারপর সেই মূল্য হইতে কিতাবাতের প্রারম্ভের এক হাজারের জন্য উহার হিসসা নির্ধারিত হইবে উহার নির্ধারিত সময়ের যতটা নিকটে তাহা এবং উহার মূল্যের পার্থক্য বিবেচনা করিয়া, অতঃপর দ্বিতীয় হাজারের জন্য (হিসসা) (ঠিক করা হইবে) যাহা প্রথম হাজারের সংলগ্ন রহিয়াছে উহার মূল্যের পার্থক্য অনুযায়ী, অতঃপর উহার সংলগ্ন হাজারের জন্য উহার মূল্যের পার্থক্য অনুযায়ী। সব শেষ অংশ প্রদান করা পর্যন্ত মুহুর্তের অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাপারকে ত্বরান্বিত বা দেরী করার বিষয়টির বিবেচনায় কিস্তির প্রতি হাজার উহার পরবর্তী হাজারের তুলনায় উত্তম ও শ্রেষ্ঠ বলিয়া সাব্যস্ত হইবে। কারণ পরবর্তী কিস্তির মূল্য মূল্যের দিক দিয়া কম হইবে। অতঃপর (কর্তা কর্তৃক যে এক হাজার দিরহাম কমান হইয়াছে) মূল্য হইতে সেই এক হাজারের পরিমাণ মৃত ব্যক্তির মালের এক-তৃতীয়াংশ হইতে বাদ দেওয়া হইবে। উহার বৃদ্ধি অথবা ঘাটতির প্রতি লক্ষ্য রাখা হইবে। যদি উহা কমে কিম্বা বৃদ্ধি পায় তবে উহা সেই অনুপাতেই হিসাব করা হইবে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির জন্য তাহার মুকাতাবের এক-চতুর্থাংশের ওসীয়্যত করিয়াছে এবং উহার এক-চতুর্থাংশ আযাদ করিয়াছে। অতঃপর সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তারপর মুকাতাবও মারা যায়। তাহার জিম্মায় যে “বদলে কিতাবাত” বাকী রহিয়াছে, তাহা হইতে অধিক মাল রাখিয়া যায়। মালিক (রহঃ) বলেন, মুকাতাবের উপর ওয়ারিসগণের যাহা প্রাপ্য রহিয়াছে উহা দেওয়া হইবে ওয়ারিসগণকে এবং তাহাকে যাহার জন্য মুকাতাবের এক-চতুর্থাংশের ওসীয়াত করা হইয়াছে। ইহার পর যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা ইহারা ভাগ করিয়া লইবে। এই অনুপাতে যাহার জন্য মুকাতাবের এক-চতুর্থাংশের ওসীয়্যত করা হইয়াছিল সে পাইবে অবশিষ্ট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ, আর মুকাতাবের কর্তার ওয়ারিসগণের হইবে দুই-তৃতীয়াংশ। মালিক (রহঃ) বলেন-যে মুকাতাবকে তাহার কর্তা মৃত্যুকালে আযাদ করিয়াছে, যদি মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ উহার জন্য যথেষ্ট না হয় তবে এক-তৃতীয়াংশে যতটুকু সংকুলান হয় ততটুকু মুকাতাব হইতে আযাদ হইয়া যাইবে এবং মুকাতাব-এর “বদলে কিতাবাত” হইতে সেই পরিমাণ কমাইয়া দেওয়া হইবে। যদি মুকাতাবের জিম্মায় থাকে পাঁচ হাজার দিরহাম আর উহার মূল্য হয় দুই হাজার দিরহাম নগদ মূল্যে। মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হয় এক হাজার দিরহাম তবে উহার অর্ধেক আযাদ হইবে এবং উহার কারণে কিতাবাতের অর্থের অর্ধেকও কমাইয়া দেওয়া হইবে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাহার ওসীয়্যতে বলিয়াছে আমার অমুক গোলাম আযাদ এবং অমুককে মুকাতাব করিয়া দিও, মালিক (রহঃ) বলেন, আযাদীকে কিতাবাতের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।